এমসি কলেজে ধর্ষণ: ডিএনএ পরীক্ষায় অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ

এমসি কলেজে ধর্ষণ: ডিএনএ পরীক্ষায় অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৮ আসামির ডিএনএ রিপোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে। এতে আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে। যেটিকে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রায় দুই মাস পর রোববার (২৯ নভেম্বর) ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

এ রিপোর্ট পেতে বিলম্বের কারণেই এতদিনেও আলোচিত এ মামলার চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। অবশ্য রিপোর্ট হাতে আসায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসায় দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে, ডিএনএ নমুনার মধ্যে কতজনের নমুনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে -এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

গত ১ ও ৩ অক্টোবর দুই দিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন, মাহফুজুর রহমান ও তারিকুল ইসলাম তারেক।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বেড়াতে আসা দম্পতির স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।

আসামিরা হলেন— এমসি কলেজের সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, মাহফুজুর রহমান মাসুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত রবিউল ইসলাম ও তারেক। এর বাইরে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকেও অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ আসামির সকলেই কারাগারে আছেন, তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন